০২:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিষ্টি হাসিতে অপরূপা বাঁধন

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজকে নতুন রূপে মেলে ধরলেন বাঁধন। হালকা গোলাপি রঙের এক শাড়িতে দেখা মিলল অভিনেত্রীকে। সঙ্গে রয়েছে নজরকাড়া কিছু গহনাও। লাইট মেকআপ এর সঙ্গে ও ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক যেন আরও লাবণ্যময়ী করে তোলে অভিনেত্রীকে।

শুরুটা ছিল লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতা দিয়ে, সে থেকেই শোবিজে পা রাখেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এখন পর্যন্ত তার ঝুলিতে বহু নাটক, ওয়েব ফিল্ম। নাম লিখিয়েছেন বড় পর্দায়ও; অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

বলা বাহুল্য, বাঁধনের নজরকাড়া অভিনয় মন টেনেছে দেশের বহু দর্শকের। ওপার বাংলাতেও রয়েছে তার সমধিক জনপ্রিয়তা। আন্তর্জাতিক অঙ্গন তথা চলচ্চিত্র উৎসব থেকেও নিজের প্রশংসার পাল্লা ভারী করেছেন।

শুধু কী তাই? এই অভিনেত্রীর আরও বিশেষত্ব রয়েছে। ৪০ বছর পেরিয়েও ভক্তদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন তিনি। কখনও তার সাহসী অবতারেও থাকে না কোনো লুকো ছাপ। কঠোর পরিশ্রমে নিজেকে ফিট রাখার পাশাপাশি রূপেও ছড়ান মুগ্ধতা।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নিজকে নতুন রূপে মেলে ধরেন বাঁধন। হালকা গোলাপি রঙের এক শাড়িতে দেখা যায় তাকে।সঙ্গে রয়েছে নজরকাড়া কিছু গহনাও। ঠোটে মিস্টি হাসি।

বাঁধনের নতুন এই রূপে ফুটে উঠেছে তার স্টাইল, সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাস। কিন্তু সব মিলিয়ে ভক্তদের মন কেড়েছে বাঁধনের মিষ্টি হাসিটি। সময়ের সঙ্গে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে অনুরাগীদের মনে যে নতুন করে জায়গা নিয়েছেন এই গুণী অভিনেত্রী তা বলার বাকি রাখে না। মন্তব্য ঘরে কোনো অনুরাগীদের কাছে তিনি ‘অপরূপা’, আবার কারও কারও কাছে তিনি ‘চার্মিং বিউটি’।

উল্লেখ্য, আসছে ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত সিনেমা ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। দুই বছর আগে শুটিং শেষ হয় ছবিটি। এছাড়াও ‘মাস্টার’ নামে আরও একটি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।

রোববার নিজের ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি লিখেছে, “আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম-কী দারুণ এক যাত্রা!”

তিনি লিখেছেন, “২০২১ সালে আমি একজন গর্বিত ‘র’ এজেন্ট ছিলাম। তবে সেটা বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত বলিউড ছবি ‘খুফিয়া’-তে। ওই সিনেমায় আমার সহশিল্পী ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবু। যারা দেখেননি দেখে ফেলেন! ওটিটি ফ্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে আছে।”

বাঁধন আরও লিখেছেন, “ওই সিনেমায় অভিনয়ের পর ঘটনা নতুন মোড় নেয়। আমি ‘খুফিয়া’ ছবির প্রিমিয়ারে পর্যন্ত যেতে পারিনি। কারণ, ভারতীয় হাই কমিশন আমার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল-একবার নয়, পাঁচবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুর (নুরুল হক নুর) সঙ্গে আমার একটা ছবি দেখে ভারতীয় হাই কমিশন খুব চিন্তিত ছিল। ছবিটি আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলাম। শেষমেশ, ভিসার জন্য দেশের পরিচিত প্রভাবশালী মানুষদের সাহায্য নিতে হয়। হাই প্রোফাইল কিছু লোকজনের হাসাহাসির মাঝেই এক মাসের সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসা পাই।”

তিনি যোগ করেন, “দুইজন প্রভাবশালী সূত্র থেকে জেনেছি, সিনেমার অন্যতম একজন নায়িকাও আমার ভিসা জটিলতায় জড়িত ছিলেন। সে ব্যক্তি কে ছিল তা অনুমান করা যেতে পারে! ভিসা জটিলতার কারণে টালিউড এবং বলিউডে অনেক ভালো কাজের সুযোগ হারিয়ে ফেলি। তবে থেমে থাকিনি।”

বাঁধন আরও বলেন, “জুলাই মাসের আন্দোলনের সময় আমাকে বলা হলো সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-এর এজেন্ট। আমি নাকি ইউএসএআইডি থেকে টাকা নিয়ে ‘ঐতিহাসিক বিপ্লব’ চালিয়েছি। তারপর হলাম জামায়াতের এজেন্ট। কারণ, আমি তাদের এক নেতার ভিডিও আমার পেজে শেয়ার করেছিলাম।”

সবশেষে অভিনেত্রী লিখেছেন, “আমার এক বন্ধু বলল, আমি নাকি মোসাদের হয়েও কাজ করছি। আর গতকাল রাতে আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম! বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ একজন আমার কাছে সিরিয়াসভাবে জিজ্ঞেস করে বসল, “টাকা খাইছো নাকি?” আমাদের কী দারুণ একটা সমাজ! যে ব্যক্তি দেশকে ভালোবাসে না, সে ভাবে আর কেউ দেশকে ভালোবাসতে পারে না। এই লেখাটা আসলে মজা করে বলা আরাম কর, হাস, আর একটু ভাব।”

ট্যাগ :

মিষ্টি হাসিতে অপরূপা বাঁধন

পোষ্টের সময় : ০২:২৫:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজকে নতুন রূপে মেলে ধরলেন বাঁধন। হালকা গোলাপি রঙের এক শাড়িতে দেখা মিলল অভিনেত্রীকে। সঙ্গে রয়েছে নজরকাড়া কিছু গহনাও। লাইট মেকআপ এর সঙ্গে ও ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক যেন আরও লাবণ্যময়ী করে তোলে অভিনেত্রীকে।

শুরুটা ছিল লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতা দিয়ে, সে থেকেই শোবিজে পা রাখেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এখন পর্যন্ত তার ঝুলিতে বহু নাটক, ওয়েব ফিল্ম। নাম লিখিয়েছেন বড় পর্দায়ও; অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

বলা বাহুল্য, বাঁধনের নজরকাড়া অভিনয় মন টেনেছে দেশের বহু দর্শকের। ওপার বাংলাতেও রয়েছে তার সমধিক জনপ্রিয়তা। আন্তর্জাতিক অঙ্গন তথা চলচ্চিত্র উৎসব থেকেও নিজের প্রশংসার পাল্লা ভারী করেছেন।

শুধু কী তাই? এই অভিনেত্রীর আরও বিশেষত্ব রয়েছে। ৪০ বছর পেরিয়েও ভক্তদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন তিনি। কখনও তার সাহসী অবতারেও থাকে না কোনো লুকো ছাপ। কঠোর পরিশ্রমে নিজেকে ফিট রাখার পাশাপাশি রূপেও ছড়ান মুগ্ধতা।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নিজকে নতুন রূপে মেলে ধরেন বাঁধন। হালকা গোলাপি রঙের এক শাড়িতে দেখা যায় তাকে।সঙ্গে রয়েছে নজরকাড়া কিছু গহনাও। ঠোটে মিস্টি হাসি।

বাঁধনের নতুন এই রূপে ফুটে উঠেছে তার স্টাইল, সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাস। কিন্তু সব মিলিয়ে ভক্তদের মন কেড়েছে বাঁধনের মিষ্টি হাসিটি। সময়ের সঙ্গে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে অনুরাগীদের মনে যে নতুন করে জায়গা নিয়েছেন এই গুণী অভিনেত্রী তা বলার বাকি রাখে না। মন্তব্য ঘরে কোনো অনুরাগীদের কাছে তিনি ‘অপরূপা’, আবার কারও কারও কাছে তিনি ‘চার্মিং বিউটি’।

উল্লেখ্য, আসছে ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত সিনেমা ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। দুই বছর আগে শুটিং শেষ হয় ছবিটি। এছাড়াও ‘মাস্টার’ নামে আরও একটি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।

রোববার নিজের ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি লিখেছে, “আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম-কী দারুণ এক যাত্রা!”

তিনি লিখেছেন, “২০২১ সালে আমি একজন গর্বিত ‘র’ এজেন্ট ছিলাম। তবে সেটা বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত বলিউড ছবি ‘খুফিয়া’-তে। ওই সিনেমায় আমার সহশিল্পী ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবু। যারা দেখেননি দেখে ফেলেন! ওটিটি ফ্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে আছে।”

বাঁধন আরও লিখেছেন, “ওই সিনেমায় অভিনয়ের পর ঘটনা নতুন মোড় নেয়। আমি ‘খুফিয়া’ ছবির প্রিমিয়ারে পর্যন্ত যেতে পারিনি। কারণ, ভারতীয় হাই কমিশন আমার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল-একবার নয়, পাঁচবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুর (নুরুল হক নুর) সঙ্গে আমার একটা ছবি দেখে ভারতীয় হাই কমিশন খুব চিন্তিত ছিল। ছবিটি আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলাম। শেষমেশ, ভিসার জন্য দেশের পরিচিত প্রভাবশালী মানুষদের সাহায্য নিতে হয়। হাই প্রোফাইল কিছু লোকজনের হাসাহাসির মাঝেই এক মাসের সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসা পাই।”

তিনি যোগ করেন, “দুইজন প্রভাবশালী সূত্র থেকে জেনেছি, সিনেমার অন্যতম একজন নায়িকাও আমার ভিসা জটিলতায় জড়িত ছিলেন। সে ব্যক্তি কে ছিল তা অনুমান করা যেতে পারে! ভিসা জটিলতার কারণে টালিউড এবং বলিউডে অনেক ভালো কাজের সুযোগ হারিয়ে ফেলি। তবে থেমে থাকিনি।”

বাঁধন আরও বলেন, “জুলাই মাসের আন্দোলনের সময় আমাকে বলা হলো সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-এর এজেন্ট। আমি নাকি ইউএসএআইডি থেকে টাকা নিয়ে ‘ঐতিহাসিক বিপ্লব’ চালিয়েছি। তারপর হলাম জামায়াতের এজেন্ট। কারণ, আমি তাদের এক নেতার ভিডিও আমার পেজে শেয়ার করেছিলাম।”

সবশেষে অভিনেত্রী লিখেছেন, “আমার এক বন্ধু বলল, আমি নাকি মোসাদের হয়েও কাজ করছি। আর গতকাল রাতে আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম! বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ একজন আমার কাছে সিরিয়াসভাবে জিজ্ঞেস করে বসল, “টাকা খাইছো নাকি?” আমাদের কী দারুণ একটা সমাজ! যে ব্যক্তি দেশকে ভালোবাসে না, সে ভাবে আর কেউ দেশকে ভালোবাসতে পারে না। এই লেখাটা আসলে মজা করে বলা আরাম কর, হাস, আর একটু ভাব।”