০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেবি কলেজের শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্বরে অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের (কেবি কলেজ) এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। নাজমুল নামের একাদশ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে নিজ মেস থেকে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি ও টাকা দাবির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, গত রবিবার রাতে তার সহপাঠী বিজয় তাকে কেবি কলেজ সংলগ্ন কেওয়াটখালীর একটি মেস থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ থেকে ৮ জন তাকে জোরপূর্বক তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এসময় তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এমনকি টাকা না দিলে ছুরিকাঘাত করাসহ নানা রকম হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মেসে বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা এনে দেয়ার কথা বলে নির্জন স্থান থেকে পালিয়ে আসেন নাজমুল। পরদিন সকালে তার বাবা-মাসহ কলেজে উপস্থিত হন। এসময় কলেজের শিক্ষকেরা অপহরণের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে জড়িতরা স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে এখনও তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ করেন। এর আগেও কেওয়াটখালি এলাকায় কেবি কলেজের আরেক শিক্ষার্থীকে একইভাবে অপহরণ করে টাকা আদায়ের ঘটনা ঘটেছিল বলে দাবী করেন নাজমুল।

এ বিষয়ে কেবি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, আমি ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। জানার পরপরই আমি অভিভাবকদের ডেকে পাঠাই। এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য যা করার কলেজ কর্তৃপক্ষ করবে। ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।

ট্যাগ :

কেবি কলেজের শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ

পোষ্টের সময় : ০৫:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্বরে অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের (কেবি কলেজ) এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। নাজমুল নামের একাদশ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে নিজ মেস থেকে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি ও টাকা দাবির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, গত রবিবার রাতে তার সহপাঠী বিজয় তাকে কেবি কলেজ সংলগ্ন কেওয়াটখালীর একটি মেস থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ থেকে ৮ জন তাকে জোরপূর্বক তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এসময় তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এমনকি টাকা না দিলে ছুরিকাঘাত করাসহ নানা রকম হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মেসে বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা এনে দেয়ার কথা বলে নির্জন স্থান থেকে পালিয়ে আসেন নাজমুল। পরদিন সকালে তার বাবা-মাসহ কলেজে উপস্থিত হন। এসময় কলেজের শিক্ষকেরা অপহরণের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে জড়িতরা স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে এখনও তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে অভিযোগ করেন। এর আগেও কেওয়াটখালি এলাকায় কেবি কলেজের আরেক শিক্ষার্থীকে একইভাবে অপহরণ করে টাকা আদায়ের ঘটনা ঘটেছিল বলে দাবী করেন নাজমুল।

এ বিষয়ে কেবি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আতাউর রহমান বলেন, আমি ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। জানার পরপরই আমি অভিভাবকদের ডেকে পাঠাই। এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য যা করার কলেজ কর্তৃপক্ষ করবে। ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।