২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ৫৪তম জাতীয় বাজেট।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফেরানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় কিছুটা কম। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বাজেটে প্রস্তাবিত পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা পরবর্তীতে কাটছাঁট করে বাস্তবায়নযোগ্য আকার দাঁড়ায় ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কিছু ভাতা বাড়ানো ও উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি, এবং গ্রামীণ পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এজন্য রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কারসহ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জাতীয় সংসদ না থাকায় এবারের বাজেট রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচার করা হচ্ছে। আলোচনার সুযোগ না থাকলেও বাজেট ঘোষণার পর নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত আহ্বান করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। এসব মতামতের ভিত্তিতে বাজেটের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে, যা ২৩ জুনের পর অনুষ্ঠিত হতে পারে। এরপর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে ১ জুলাই থেকে নতুন বাজেট কার্যকর হবে।
এবার ঈদুল আজহা ৭ জুন হওয়ায় ঈদের আগে বাজেট উপস্থাপন করা হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার সুযোগ থাকবে।