১০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ময়মনসিংহে তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি, তবে বেড়েছে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি

 

ময়মনসিংহে কয়েকদিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর শনিবার সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে অসহনীয় গরমের পর জনজীবনে ফিরে এসেছে স্বস্তি, কমেছে অস্বস্তিকর উষ্ণতা। তবে একটানা ভারী বর্ষণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা, বাড়ছে দুর্ভোগ।

 

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকেই ময়মনসিংহের আকাশ অন্ধকার হয়ে পড়ে এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি, যা দুপুর পর্যন্ত থামেনি। বৃষ্টির সময় নগরী ও আশপাশের এলাকায় বজ্রপাতও হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

 

ময়মনসিংহ আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জানান, সকাল ৯টা থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয় এবং বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতের খবর পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, শুক্রবার ময়মনসিংহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বৃহস্পতিবার ছিল ৩৬.৮ ডিগ্রি। আগামী কয়েকদিনও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

টানা গরমে অতিষ্ঠ মানুষজন এই বৃষ্টিকে স্বস্তির বার্তা হিসেবে দেখছেন। নগরের সানকিপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, “টানা গরমে শিশু-বৃদ্ধসহ সবাই কষ্টে ছিল। আজকের বৃষ্টি হৃদয় শীতল করেছে।” একইভাবে নতুন বাজার এলাকার সাইফুল ইসলাম জানান, “বৃষ্টির পর প্রকৃতি ঠান্ডা হয়ে গেছে, মানুষজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।”

 

অটোরিকশা চালক শহীদুল ইসলাম বলেন, “গরমে ঠিকমতো খাওয়া-ঘুম কিছুই হচ্ছিল না। এখন বৃষ্টি নেমেছে, শান্তি লাগছে।” অনেকেই বৃষ্টিতে গা ভিজিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে দেখা গেছে।

 

মুক্তাগাছার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, “সকাল ৯টা ৩০ থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি এখনও থামেনি। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য এক ধরনের রহমত, যদিও কিছু কষ্টও আছে।”

 

তবে স্বস্তির পাশাপাশি শুরু হয়েছে ভোগান্তিও। ভাটিকাশর আলিয়া মাদ্রাসার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ জানান, “টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে, বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকছে। দ্রুত বৃষ্টি না কমলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”

 

তীব্র গরমে নাজেহাল ময়মনসিংহবাসীর জন্য এই বৃষ্টি যেমন ছিল স্বস্তির, তেমনি অপরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনার কারণে জলাবদ্ধতা ও ভোগান্তিও দেখা দিচ্ছে। প্রকৃতির শান্ত পরশের সঙ্গে এই সমস্যা মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষের নজরদারি এখন সময়ের দাবি।

 

ট্যাগ :

ময়মনসিংহে তীব্র গরমের পর স্বস্তির বৃষ্টি, তবে বেড়েছে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি

পোষ্টের সময় : ০২:৪৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

ময়মনসিংহে কয়েকদিনের তীব্র তাপপ্রবাহের পর শনিবার সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে অসহনীয় গরমের পর জনজীবনে ফিরে এসেছে স্বস্তি, কমেছে অস্বস্তিকর উষ্ণতা। তবে একটানা ভারী বর্ষণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা, বাড়ছে দুর্ভোগ।

 

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকেই ময়মনসিংহের আকাশ অন্ধকার হয়ে পড়ে এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি, যা দুপুর পর্যন্ত থামেনি। বৃষ্টির সময় নগরী ও আশপাশের এলাকায় বজ্রপাতও হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

 

ময়মনসিংহ আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জানান, সকাল ৯টা থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয় এবং বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতের খবর পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, শুক্রবার ময়মনসিংহের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বৃহস্পতিবার ছিল ৩৬.৮ ডিগ্রি। আগামী কয়েকদিনও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

টানা গরমে অতিষ্ঠ মানুষজন এই বৃষ্টিকে স্বস্তির বার্তা হিসেবে দেখছেন। নগরের সানকিপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, “টানা গরমে শিশু-বৃদ্ধসহ সবাই কষ্টে ছিল। আজকের বৃষ্টি হৃদয় শীতল করেছে।” একইভাবে নতুন বাজার এলাকার সাইফুল ইসলাম জানান, “বৃষ্টির পর প্রকৃতি ঠান্ডা হয়ে গেছে, মানুষজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।”

 

অটোরিকশা চালক শহীদুল ইসলাম বলেন, “গরমে ঠিকমতো খাওয়া-ঘুম কিছুই হচ্ছিল না। এখন বৃষ্টি নেমেছে, শান্তি লাগছে।” অনেকেই বৃষ্টিতে গা ভিজিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে দেখা গেছে।

 

মুক্তাগাছার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, “সকাল ৯টা ৩০ থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি এখনও থামেনি। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য এক ধরনের রহমত, যদিও কিছু কষ্টও আছে।”

 

তবে স্বস্তির পাশাপাশি শুরু হয়েছে ভোগান্তিও। ভাটিকাশর আলিয়া মাদ্রাসার বাসিন্দা আব্দুল মজিদ জানান, “টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে, বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকছে। দ্রুত বৃষ্টি না কমলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”

 

তীব্র গরমে নাজেহাল ময়মনসিংহবাসীর জন্য এই বৃষ্টি যেমন ছিল স্বস্তির, তেমনি অপরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনার কারণে জলাবদ্ধতা ও ভোগান্তিও দেখা দিচ্ছে। প্রকৃতির শান্ত পরশের সঙ্গে এই সমস্যা মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষের নজরদারি এখন সময়ের দাবি।