ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সদরের পোস্ট অফিস রোডের সরকারি বড়পুকুর পাড় ঘেঁষেই ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়। সামনে নেতাকর্মীদের বসার জায়গা ছিল। বিভিন্ন সময়ে সাংগঠনিক অনুষ্ঠান ছাড়াও একসময় আওয়ামীলীগের এই কার্যালয়টিতে প্রতিনিয়ত দেখা যেতো দলীয় নেতাকর্মীদের পদচারণা।
৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতন হলে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দলীয়ে কার্যালয়ে এখন বসে পানের হাট। সরকার পতনের দিনই আওয়ামী লীগের দলীয় এ কার্যালয়টি অন্যান্য স্থাপনার মত ভাংচুর করে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পানের হাট বসানো হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পান চাষিরা পান বিক্রি করতে তাদের পানের বরজ থেকে পান নিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি পান ক্রয় করতে হাজির হয়েছেন স্থানীয় বেপারিরাও। আড়ৎদার ও বেপারিরা দর দাম নিয়ে হাঁকডাক করছেন।
লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, সকালের এই হাটে প্রায় দুই ঘন্টা বেচাকেনা হয়। বিক্রি শেষে আড়ৎদারকে শতকরা ১০ টাকা হারে টাকা দিতে হয় কৃষকদের।
পাটুলি এলাকার কাদের মিয়া বলেন, আগে এটি আওয়ামী লীগের অফিস ছিল, হাসিনা পালানোর পর থেকে এটি পরিত্যক্ত। তাই এখানে পানের হাট বসানো হয়েছে। সবাই এখানে পান নিয়ে আসে তাই আমরাও পান বিক্রি করতে নিয়ে আসছি।
সুজাত বলেন, এই পানের হাটে প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শতাধিক পান চাষি ও পাইকাররা উপস্থিত হন। এই হাটে বেশ ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে।
পান নিয়ে আসা কৃষক ও পাইকাররা জানান, এ পানের বাজারে আড়ৎদারির মাধ্যমে পান বিক্রি হয়। আর এ আড়ৎদারের দায়িত্বে রয়েছেন আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি।