০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘদিন অবহেলার পর অবশেষে সংস্কার সম্পন্ন ‘নজরুল ভাষ্কর্য’

 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০০৬ সালে কবির স্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিষ্ঠিত হয় কবির নামে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সম্মানে স্থাপিত ‘নজরুল ভাষ্কর্য’ দীর্ঘদিন অবহেলার পর নির্মাণ কাজ শেষে পরিপূর্ণ গঠনে এসেছে।

 

২০১৭-১৮ অর্থবছরে শুরু হওয়া নজরুল ভাস্কর্য নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের জুন-জুলাইয়ে। তবে নির্ধারিত সময়ের দুই বছর পর অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই ২০২১ সালের ২৫ মে কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকীতে উদ্বোধন করা হয় নজরুল ভাস্কর্যটি। অসম্পূর্ণ ভাস্কর্যের নিচের অংশ সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে এবং লালগালিচা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়টির তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান এটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

 

পরবর্তীতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর তার দ্বায়িত্বকালীন সময়ে এই ভাষ্কর্যের কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও সম্পন্ন হয়নি। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর নতুন প্রশাসন দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর এই ভাষ্কর্যের বাকি অংশের কাজ ১২৬ তম নজরুল জন্মজয়ন্তীর পূর্বেই সম্পন্ন করা হয়।

 

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াকিয়াহ হক খান তরী তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, নজরুল ভাস্কর্যটির সাম্প্রতিক সংস্কারের পর এখন এটি অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে। লাল ইটের বেদি, পাশে ফুলের গাছ আর লাইটিংয়ের ছোঁয়ায় জায়গাটি এখন আরও প্রাণবন্ত মনে হয়। আগে এটি শ্যাওলা পড়ে অবহেলিত অবস্থায় ছিল, কিন্তু এখন ভাস্কর্যটির চারপাশে একটা সৌন্দর্যের আবহ তৈরি হয়েছে। সংস্কারের এই উদ্যোগ নজরুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যও বাড়িয়েছে।

 

সম্পূর্ণ নির্মাণ শেষে ভাষ্কর্যটির নান্দনিকতা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বেশ আকর্ষণ তৈরি করেছে। ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর তারিক বলেন, এর আগে জায়গাটি বেশ অপরিষ্কার থাকতো। এর আশেপাশে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতো। সন্ধ্যার পর অপরিচিত কারো এখানে যে ভাষ্কর্য আছে তা সহজেই চোখে পড়তো না। এখন জায়গাটি বেশ চমৎকার হয়েছে। আমাদের দাবি থাকবে ভাষ্কর্যটির যেন যত্ন নেওয়া হয়।

ট্যাগ :

দীর্ঘদিন অবহেলার পর অবশেষে সংস্কার সম্পন্ন ‘নজরুল ভাষ্কর্য’

পোষ্টের সময় : ১০:০৪:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০০৬ সালে কবির স্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিষ্ঠিত হয় কবির নামে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সম্মানে স্থাপিত ‘নজরুল ভাষ্কর্য’ দীর্ঘদিন অবহেলার পর নির্মাণ কাজ শেষে পরিপূর্ণ গঠনে এসেছে।

 

২০১৭-১৮ অর্থবছরে শুরু হওয়া নজরুল ভাস্কর্য নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের জুন-জুলাইয়ে। তবে নির্ধারিত সময়ের দুই বছর পর অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই ২০২১ সালের ২৫ মে কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকীতে উদ্বোধন করা হয় নজরুল ভাস্কর্যটি। অসম্পূর্ণ ভাস্কর্যের নিচের অংশ সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে এবং লালগালিচা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়টির তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান এটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

 

পরবর্তীতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর তার দ্বায়িত্বকালীন সময়ে এই ভাষ্কর্যের কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও সম্পন্ন হয়নি। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর নতুন প্রশাসন দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর এই ভাষ্কর্যের বাকি অংশের কাজ ১২৬ তম নজরুল জন্মজয়ন্তীর পূর্বেই সম্পন্ন করা হয়।

 

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াকিয়াহ হক খান তরী তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, নজরুল ভাস্কর্যটির সাম্প্রতিক সংস্কারের পর এখন এটি অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন ও দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে। লাল ইটের বেদি, পাশে ফুলের গাছ আর লাইটিংয়ের ছোঁয়ায় জায়গাটি এখন আরও প্রাণবন্ত মনে হয়। আগে এটি শ্যাওলা পড়ে অবহেলিত অবস্থায় ছিল, কিন্তু এখন ভাস্কর্যটির চারপাশে একটা সৌন্দর্যের আবহ তৈরি হয়েছে। সংস্কারের এই উদ্যোগ নজরুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যও বাড়িয়েছে।

 

সম্পূর্ণ নির্মাণ শেষে ভাষ্কর্যটির নান্দনিকতা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বেশ আকর্ষণ তৈরি করেছে। ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর তারিক বলেন, এর আগে জায়গাটি বেশ অপরিষ্কার থাকতো। এর আশেপাশে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতো। সন্ধ্যার পর অপরিচিত কারো এখানে যে ভাষ্কর্য আছে তা সহজেই চোখে পড়তো না। এখন জায়গাটি বেশ চমৎকার হয়েছে। আমাদের দাবি থাকবে ভাষ্কর্যটির যেন যত্ন নেওয়া হয়।