নেত্রকোনার মদনে বিদ্যালয়ের জমির সীমানা নির্ধারণের সময় ভাইকে মারধর দেখে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রহুল আমিনের মৃত্যু হয়েছে। এমনটি দাবি করেছেন মারধরে আহত বড় ভাই হাফিজুর রহমান। নিহত রহুল আমিন উপজেলা তিয়শ্রী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
জানা যায়, নিহত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রহুল আমিনের বড় ভাই হাফিজুর রহমান শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের জমিদাতাও তার বাবা হাজি শামছুল হক। বিদ্যালয়ের পাশের জমির মালিক গোলাপ মিয়ার স্ত্রী আম্বিয়া আক্তার। আম্বিয়া আক্তার বিদ্যালয়ের একাংশের জমি দখলে নিয়ে ঘর নির্মাণ করে। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এমন কি বিদ্যালয়ের জমি সার্ভেয়ার ধারা সীমানা নির্ধারণ জন্যও আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার সার্ভেয়ার নাসির উদ্দিন বিদ্যালয়ের জমির সীমানা নির্ধারণ করার সময় সার্ভেয়ারকে লাঞ্চিত করে। এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে মারধর করে প্রতিপক্ষের আম্বিয়াসহ আরও কয়েকজন। বিষয়টি দেখে প্রধান শিক্ষকের ছোট ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রহুল আমিন মনের দিক দিয়ে কষ্ট পান। এ দিকে তার ভাইকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেইজ বুকে ভাইরাল হয়। এ দেখে তিনি স্ট্রোক করেন। তাৎক্ষণিক মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেই শুক্রবার রাত আনুমানিক ১টায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ শনিবার (২১ জুন) নিজবাড়ি শ্রীধরপুর গ্রামে বিকাল আড়াইটায় নিজ বাড়িতে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ নিয়ে তার বড় ভাই শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, আমাকে যখন এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সামনে বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আম্বিয়াসহ কয়েকজন মারপিট করে এ সময় আমার ছোট ভাই বিষয়টি সহ্য করতে পারেনি। তাৎক্ষনিক সে স্ট্রোক করে। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় আমার ভাই মারা যায়।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রহুল আমিনের মৃত্যুতে আমারা গভীরভাবে শোকাহত। এ নিয়ে জেলা বিএনপিও শোকবার্তা দিয়েছেন।
রহুল আমিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকবার্তা দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সহকারী সচিব মির্জাদার আলী ।