০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গলে ড্র, আত্মবিশ্বাস নিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন যাত্রায় বাংলাদেশ

 

গলের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে বেশিরভাগ সময়ই ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়ে সফরকারীরা। পাল্টা জবাব দেয় শ্রীলঙ্কাও, ফলে ম্যাচ গড়ায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে। শেষ পর্যন্ত চার দিনে চার ইনিংসের জমজমাট লড়াইয়ের পর ড্রতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।

 

প্রথম ইনিংসে টাইগাররা করে ৪৯৫ রান। শান্ত ও মুশফিকের ইনিংস ছিল মূল ভরসা। জবাবে শ্রীলঙ্কা করে ৪৮৫ রান, ফলে বাংলাদেশ পায় মাত্র ১০ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও শান্তর দৃঢ়তা এবং ব্যাটিং অর্ডারের অবদান বাংলাদেশের স্কোর দাঁড় করায় ৬ উইকেটে ২৮৫। পঞ্চম দিনের শুরুতে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ১৮৭ রানে। শান্ত ও মুশফিক ধীরগতিতে ইনিংস সাজাতে থাকেন। মুশফিক ফিরে যান ৪৯ রানে রানআউট হয়ে। শান্তও কিছুটা রক্ষণাত্মক ছিলেন, তবে পরবর্তীতে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে হয়ে ওঠেন আগ্রাসী। শেষ দিকে নাইমের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি। সেখান থেকেই ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা।

 

জবাবে ২৯৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। দ্রুত রান তুলতে গিয়েই বিপাকে পড়ে তারা। মাত্র ৩২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় লাহিরু উদারার রানআউটের মাধ্যমে। এক বল পরই ফেরেন পাথুম নিশাঙ্কা। এরপর চা বিরতির আগে স্কোর ছিল ৩৪/২। বিরতির পর আরও দুটি উইকেট হারালেও টাইগারদের বোলাররা বাকিদের তুলে নিতে পারেনি।

 

সবমিলিয়ে সঠিক সময়ে ইনিংস ঘোষণা, বল হাতে চেষ্টা এবং শান্তর সেঞ্চুরি বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের জায়গা তৈরি করেছে। যদিও জয় ধরা দেয়নি, তবে প্রতিপক্ষের মাঠে এমন নিয়ন্ত্রিত পারফরম্যান্স নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের জন্য ভালো বার্তা বয়ে আনছে।

 

ট্যাগ :

গলে ড্র, আত্মবিশ্বাস নিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন যাত্রায় বাংলাদেশ

পোষ্টের সময় : ০৬:২২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

 

গলের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে বেশিরভাগ সময়ই ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়ে সফরকারীরা। পাল্টা জবাব দেয় শ্রীলঙ্কাও, ফলে ম্যাচ গড়ায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে। শেষ পর্যন্ত চার দিনে চার ইনিংসের জমজমাট লড়াইয়ের পর ড্রতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।

 

প্রথম ইনিংসে টাইগাররা করে ৪৯৫ রান। শান্ত ও মুশফিকের ইনিংস ছিল মূল ভরসা। জবাবে শ্রীলঙ্কা করে ৪৮৫ রান, ফলে বাংলাদেশ পায় মাত্র ১০ রানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও শান্তর দৃঢ়তা এবং ব্যাটিং অর্ডারের অবদান বাংলাদেশের স্কোর দাঁড় করায় ৬ উইকেটে ২৮৫। পঞ্চম দিনের শুরুতে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ১৮৭ রানে। শান্ত ও মুশফিক ধীরগতিতে ইনিংস সাজাতে থাকেন। মুশফিক ফিরে যান ৪৯ রানে রানআউট হয়ে। শান্তও কিছুটা রক্ষণাত্মক ছিলেন, তবে পরবর্তীতে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে হয়ে ওঠেন আগ্রাসী। শেষ দিকে নাইমের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি। সেখান থেকেই ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা।

 

জবাবে ২৯৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। দ্রুত রান তুলতে গিয়েই বিপাকে পড়ে তারা। মাত্র ৩২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় লাহিরু উদারার রানআউটের মাধ্যমে। এক বল পরই ফেরেন পাথুম নিশাঙ্কা। এরপর চা বিরতির আগে স্কোর ছিল ৩৪/২। বিরতির পর আরও দুটি উইকেট হারালেও টাইগারদের বোলাররা বাকিদের তুলে নিতে পারেনি।

 

সবমিলিয়ে সঠিক সময়ে ইনিংস ঘোষণা, বল হাতে চেষ্টা এবং শান্তর সেঞ্চুরি বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসের জায়গা তৈরি করেছে। যদিও জয় ধরা দেয়নি, তবে প্রতিপক্ষের মাঠে এমন নিয়ন্ত্রিত পারফরম্যান্স নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের জন্য ভালো বার্তা বয়ে আনছে।