সেবায় গড়িমসি, ধীরগতি ও অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগে ময়মনসিংহে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে নগরীর কাঁচরী ঘাট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এই দুদক টিমের নেতৃত্ব দেন দুদক ময়মনসিংহ সমন্বিত বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. বুলু মিয়া। অভিযানকালে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কক্ষে দুদকের সামনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন উপস্থিত সেবাপ্রার্থীরা। এ নিয়ে দুদক কর্মকর্তাদের সামনেই সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক টিম।
এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সেবাপ্রার্থীরা অভিযোগ করেন, নতুন ভোটারের জন্য সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও তথ্য ঘাটতি রয়েছে এসব অজুহাত দেখিয়ে নতুন করে তারিখ দেয়। আইডি কার্ডের নাম সংশোধনের জন্য মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। আবার তারিখ অনুযায়ী নির্বাচন অফিসে এলে সেই অনুযায়ী কাগজপত্র জমা দিলেও সংশোধন হবে কিনা তা বুঝা যায় না। কর্মকর্তারা ইচ্ছা করলেই এ কাজগুলো সময়মতো করে দিতে পারেন কিন্তু অযথা তারা সেবাপ্রার্থীদের সময়ক্ষেপণ করে ভোগান্তির সৃষ্টি করেন।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি শতভাগ সেবা নিশ্চিতের জন্য। প্রতিদিন সকালে সবাইকে ব্রিফিং করে কাজ শুরু করি। তারপরও যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সেটা আমার অজান্তে। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেবার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করে থাকি। অনলাইন সেবায় কোনো কারচুপির সুযোগ নেই। তবে সব তথ্য নিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় বেশি লাগে।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. বুলু মিয়া। তিনি বলেন, সরকারি দপ্তরে এসে মানুষের এত হয়রানি কোনোভাবেই কাম্য নয়। সেবাপ্রার্থীদের নির্বাচন কর্মকর্তার মুখোমুখি করে তদন্ত করা হচ্ছে।